,

মাধবপুরে মেম্বারের ভাতিজা ইজ্জত হরণ করল যুবতীর ॥ সালিশে জুতাপেটা

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের এক ইউপি সদস্যের ভাতিজা কর্তৃক এক যুবতীর ইজ্জত হরণের ঘটনায় প্রহসনের শালীস বাসিয়ে অভিযুক্ত যুবক কে জুতাপেটা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। গত রোববার রাতে প্রহসনের এ শালীসের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের জাফর আলীর যুবতী মেয়ে গত শুক্রবার রাতে প্রকৃতির ঢাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে একই গ্রামের প্রতিবেশি আব্দুল কাদির ঝাড়– মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া জোর পূর্বক ধরে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে ইজ্জত হরণ করে। এ বিষয়টি গ্রামের মধ্যে জানাজানি হলে উজ্জলের চাচা ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে যুবতীকে শালীসের আশ্বাস দেয়। রবিবার সকালে যুবতী মামলা করতে চাইলে ইউপি মেম্বার যুবতীকে ফিরিয়ে নেয়। রবিবার রাতে ধনু মিয়া সর্দ্দারের বাড়িতে এক শালীসে বৈঠক বসে। বৈঠকে যুবতীর কোনো বক্তব্য না নিয়ে এক তরফা ভাবে শালীস করে যুবককে শাস্তি স্বরূপ জুতাপেঠা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাতব্বর শিরন মিয়া, আব্দুল আলী সর্দ্দার, দুধ মিয়া, চান মিয়া, খোরশেদ আলী, রশিদ মিয়া মেম্বার। এ বিষয়ে যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি বিচার পাইনি। শালীসে আমার কোনো কথা না শুনে এক তরফা বিচার করা হয়। প্রভাবশালীদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না। আব্দুর রশিদ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা পরস্পর আত্মীয়। ভুল বুঝাবুঝির কারনে এটি হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর